ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবার জন্য পড়াশোনার প্রতি সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। নোটস, সাজেশন, কোচিংয়ের শীট এবং গাইড বই গুলোর মাঝে আমরা এমন ভাবে ডুবে যাই যে শেষে কোন কিছুই শৃঙ্খলা ও পরিকল্পিত ভাবে হয় না। কেউ কেউ হয়তো বা সবকিছু ঠিক রাখতে পারে, কিন্তু তার সংখ্যা খুবই কম।
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে অনেকেই আমার কাছে পড়াশোনা সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রশ্ন করেছে, আরো জানতে চেয়েছে বিভিন্ন টিপস, সেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। পাশাপাশি এমন কিছু বিষয় শেয়ার করব, যা তোমারা হয়তো জানো না, এমনকি আমি যখন পরীক্ষার্থী ছিলাম তখন আমিও জানতাম না।
Contents
ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর 300, ইংরেজিতে 100 নম্বর গণিতে ও 100 নম্বর, এবং বাংলা সাধারণ জ্ঞানে যথাক্রমে আছে ৬০ ও ৪০ নম্বর। প্রতিটি বহুতল বিল্ডিং কিংবা টাউয়ারের চার প্রান্তে খুব শক্ত মজবুত ও টেকসই রয়েছে, যদি এই চারটি পিলারের একটিতেও একটু সমস্যা হয়, তখন বহুতল ভবনটি ধ্বসে পড়ে ।
ঠিক তেমনি আইফেল টাওয়ারের মতো উচ্চতায় পৌঁছাতে গেলে বা বুর্জ খলিফার মতো চমৎকার কিছু হতে চাইলে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান এই চার বিষয়ে সবগুলোতে পারদর্শী হতে হবে। গভীর ভাবে জানতে হবে এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হবে। এর একটিও যদি তোমার ঘাটতি থাকে, তবে তাসের ঘরের মতো সব ভেঙে যাবে।
Jack of all trades, master of none.
তাই ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা কিংবা পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা যেকোনো পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার প্রথম করার উপায় প্রতিটি বিষয়ে ভালো হওয়া অর্থাৎ All Square হওয়া।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা এর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইংরেজি। ইংরেজি গ্রামার এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রাইটিং এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে। যদিও ইংরেজি ও গণিত এর নম্বর সমান, এরপরও বিগত বছরের ভর্তি পরীক্ষায় এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো। এবং তোমার পরিচিত কোন ক্যাডেট কলেজ পড়ুয়া ভাইয়া আপুর কাছ থেকে বিষয়টা নিশ্চিত হতে পারো।
কেননা ক্যাডেট কলেজে প্রতিটি বিষয় ইংলিশ ভার্সনে পড়ানো হয়। তুমি যদি কোনভাবে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করেই ফেল। কিন্তু এই বিষয় নড়বড়ে থাকে তবে ক্যাডেট কলেজ পুরোপুরি চান্স পেয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু করার পরে তোমাকে বেশ সমস্যায় পড়তে হবে। ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস উল্লেখ না থাকলেও তোমার বোর্ড বইয়ের গুরুত্ব সর্বাধিক। বইয়ের আনাচে-কানাচে কোথায় কি আছে, নতুন শব্দ বাদ গেল নাকি, অর্থাৎ পুরো বইটি ভালো করে পড়তে হবে, জানতে হবে।
পাশাপাশি পাঞ্জেরী গাইড এর ইংরেজি খন্ড সবটুকু পড়তে পারো। আরো পড়তে পারো self-teaching, self-learning, advance নবদূত অর্থাৎ এই বইগুলোর যেকোনো একটি। যেটা তোমার কাছে আছে; ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের ভালো করার জন্য। পাশাপাশি ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি ব্যাকরণ এর বইটা একবার রিডিং পড়তে পারো। এবং সেখানে প্রদত্ত অনুচ্ছেদ গুলো আরো বিস্তারিত জানতে পারো।
Linking verb, infinitive, transitive, particle সম্পর্কে সামান্য ধারণা থাকা প্রয়োজন। Verb এর বিভিন্ন Form, বাক্যের সাধারণ ভুল ত্রুটি পড়তে পারো। যা প্যারাগ্রাফ লেখায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Picture writing, dialogue, email এর জন্য কিছু ধারনা নিতে পারব যদিও সব সময় এগুলো পরীক্ষায় থাকেনা।
ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে এই Open Ended অংশে ভালো করা খুবই প্রয়োজন। এর জন্য যত বেশি পড়ো, তত বেশি বেশি paragraph ও composition পড়তে হবে। এবং তোমার ইংরেজি ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের বিভিন্ন ছবিগুলো নিজে নিজে ব্যাখ্যা করে লেখার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া ইমেইল লেখার সময় ব্রিটিশ আমেরিকান (পুরাতন/ নতুন) যেকোনো একটি অনুসরণ করবে, কোনভাবেই দুটো নিয়মের জগাখিচুড়ি করা যাবে না। একই উপদেশ Application ও Letter এর জন্যও প্রযোজ্য। যদি পরীক্ষায় Dialogue আসে তা ছয় বা সাত জোড়া কথোপকথনের মধ্যে লিখতে হবে। সর্বোচ্চ দুই থেকে আড়াই পৃষ্ঠার মধ্যে। এক্ষেত্রে hi, hello, goodbye, see you এগুলো ছয় সাত জোড়ার মধ্যে গণ্য হবে না।
কোন প্যারাগ্রাফ ই মুখস্তের প্রয়োজন নেই। তবে নিচে কিছু টপিক দিচ্ছি যেগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে বাংলা, ইংরেজি ও G.K তিন বিষয়েই উপকৃত হবে
এই টপিক গুলো ভালো করে পড়লে, ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা এর পাশাপাশি পরবর্তী সময়েও অন্যান্য ক্ষেত্রে বেশ ভাল কাজে দিবে। ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণত Completing story একটু কঠিন হয়। তাই ভালো করতে হলে প্রয়োজন প্রচুর গল্পের বই পড়ো, কিশোর আলো, বিজ্ঞান চিন্তা বা অন্য কোনো সাময়িকী পড়ো। একই সাথে প্রয়োজন তুখোড় চিন্তাশক্তি ও কল্পনা শক্তি।
Argumentative essay সম্পর্কে আমার তেমন একটা ধারণা নেই। তবে অপ্রাসঙ্গিক যুক্তি থেকে সুন্দর ছোট ছোট যুক্তি গুলো বেশি কার্যকরী।
অনেকেই আমাকে গণিত নিয়ে প্রশ্ন করেছে। সম্ভবত এই বিষয়টি নিয়ে সবাই একটু বেশি চিন্তিত। কিন্তু অংক খুবই সহজ ও ইন্টারেস্টিং একটি বিষয়।
অযথা উপরের ক্লাসের বই পড়ে ও কঠিন কঠিন সমস্যা দেখে সহজ ও সুন্দর বিষয়টাকে কঠিনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো একদম ঠিক নয়। মনে রাখবে সপ্তম, অষ্টম, নবম-দশম শ্রেণীর বইগুলো তোমার জন্য নয়। যখন সময় হবে তখন একটু একটু করে শিখে নিবে। তাই উচ্চশ্রেণীর বইগুলো না পড়লেও কোন চিন্তা করার কারণ নেই। একথাও সত্য যে আমাদের ষষ্ঠ শ্রেণির বইগুলো ভর্তি পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়।
বর্গের সূত্র ও অনুসিদ্ধান্ত সমূহ, উপপাদ্যের মূল বিষয়, বৃত্ত, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, শতকরা ও লাভ ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকলে যথেষ্ট। পাশাপাশি নবম-দশম শ্রেণীর গণিত বইয়ের ২ ও ৩নং পৃষ্ঠার সংগাগুলো, অষ্টম শ্রেণীর 126 পৃষ্ঠার চতুর্ভুজের শ্রেণীবিভাগ শিক্ষকের সহায়তায় শিখতে পারো। একটি গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা ও বর্ণনা ভর্তি পরীক্ষায় আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল। শুধু মুখস্ত করে আদৌ কোনো ভালো ফল পাবে না, তাই অংক বুঝতে না পারলে জাস্ট লিভ ইট।
সুশীল কিংবা আইডিয়াল ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার অন্য যে কোনো গাইড বই সম্পর্কিত সবগুলো MCQ ও শর্ট কোশ্চেন পড়তে পারো। এবং মডেল টেস্ট ও আরো কিভাবে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হয়, তা তুমি নিজেই জানো।
এই অঙ্কের পিছনে ছুটতে গিয়ে কঠিন সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে সহজ বিষয়গুলো কোনভাবেই ভুল করা যাবেনা। একজন আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল দশম শ্রেণীর বই পড়তে হবে কিনা? আমার পরামর্শ হলো সরাসরি দশম শ্রেণীর কোন বই থেকে তোমাদের প্রশ্ন আসবে না।
আর এই বিষয়ে শিক্ষকের অভিজ্ঞতা ও নির্দেশনা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। গণিত প্রশ্ন কঠিন হলে তা তোমার একার জন্য না, সকল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই কঠিন হবে।
প্রথমেই বাংলা বোর্ড বই সবটুকু পড়তে হবে। এমন ভাবে শেষ করতে হবে যেন এর যেকোন জায়গা থেকে শূন্যস্থান আসলেও পারো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও অন্যান্য বিখ্যাত কবি পরিচিতি গ্রুপ ভালোভাবে পড়া উচিত। এই 60 নম্বরের বিষয়টির জন্য ব্যাকরণ ভালো পারা উচিত। বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইটি পড়তে পারো, পড়তেই হবে। নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বই এর বিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ, বাগধারা তোমাকে আরও দক্ষ করে তুলবে।
লিখিত অংশের ভালো করতে হলে প্রয়োজন প্রচুর পড়াশোনা। প্রতিটি অনুচ্ছেদ বা রচনা তিন-চারবার করে পড়লেই যথেষ্ট, মুখস্ত করার প্রয়োজন নেই। ভাব-সম্প্রসারণ, অনুচ্ছেদ, সারাংশ ও সারমর্মের জন্য নবম-দশম শ্রেণীর “রচনা সম্ভার” নামে চমৎকার একটি বই আছে। এই বইটি সংগ্রহ করতে না পারলে, তোমার যে বই আছে সেটাই পড়তে পারো। উপস্থিত বক্তৃতা চর্চা করায় চতুর্থ শ্রেণি থেকেই এই বই সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল, যা অনুচ্ছেদ লিখতে আমাকে খুবই সাহায্য করেছে।
ভাব সম্প্রসারণ দেড় থেকে দুই পৃষ্ঠায় শেষ করাই শ্রেয়। সারাংশ ও সারমর্ম দুই তিন বাক্যে গুছিয়ে লিখতে হবে, তাই এক্ষেত্রে চুম্বক শব্দ বেশি ব্যবহার করতে হবে। অনুচ্ছেদে কখনোই প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু লেখা যাবে না। বেশি লিখলে সবসময়ই হিতে বিপরীত হবে- বাংলা ও ইংরেজি উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
নামে যতই সাধারণ হোক না কেন, এই সাধারণ জ্ঞান ও কমনসেন্স আমাদের খুবই কম থাকে।
2020 সালের আইডিয়াল প্রকাশনীর সালতামামি কিনে নিতে পারো এবং জানুয়ারি মাসের কারেন্ট এফেয়ার্স একবার পড়ে ফেল, অবশ্যই চাকরির প্রস্তুতি, কঠিন কঠিন তথ্য, কটমটে রেংকিং ও শর্টকাট পড়ার দরকার নেই। বিগত বছরের প্রশ্ন ও গাইড এর মডেল টেস্টগুলো আয়ত্তে আনতে হবে। নদ-নদী, দেশ-রাজধানী-মুদ্রা, বিভিন্ন বছরে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো না পড়লেও সমস্যা নেই। এখান থেকে সর্বোচ্চ দুই বা তিন নম্বর থাকতে পারে, যেগুলো পড়তে ব্যাপক সময় প্রয়োজন। আর সেই সময়টুকু গণিত বা ইংরেজিতে দিলে বেশ লাভবান হবে। সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হয়ে উঠতে গিয়ে কখনোই অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মার্কস মিস করা যাবে না। ক্যাডেট কলেজের শিক্ষকরা সাধারণত বিশ্ব থেকে দেশ সম্পর্কে বেশি প্রশ্ন করেন ও সাল সম্পর্কিত প্রশ্ন খুবই কম করে থাকেন। তার মানে এই না, এগুলো থেকে কোনো প্রশ্ন আসবে না, আসবে কিন্তু কম।
পাশাপাশি বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং আইসিটির প্রতিটি অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর জানতে হবে। একই সাথে ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার গাইড থেকে অধ্যায় সম্পর্কিত যা দেওয়া আছে, সবটুকুই পড়তে হবে।
সাধারণ জ্ঞানের কোন তথ্য কঠিন বা কোন লিস্ট বা চার্ট যদি মনে না থাকে, তখন কি করব? এরকম তথ্যগুলো মাত্র 3 থেকে 4 বার পড়ে মনে রেখে দাও। আমাদের ব্রেইন বিপদের সময় সামান্য পড়া থেকেই অনেক প্রশ্ন ও সমস্যার উত্তর দিয়ে দেয়।
সুশীল বা আইডিয়াল প্রকাশনীর বা অন্য যেকোনো গাইড এর মডেল টেস্ট ভালো করে পড়তে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি বিষয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন এবং শিক্ষক নির্ধারিত অন্যান্য টপিক পড়তে হবে।
অভিনন্দন! এই বিশাল আর্টিকেলটি তুমি পড়ে শেষ করেছ মানে তুমি প্রচুর জ্ঞান পিপাসু ও ভালো করতে ইচ্ছুক। পরবর্তী পর্বে থাকবে শেষ সময়ের প্রস্তুতি, পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর পদ্ধতি ও বিশেষ টিপস অন্ড ট্রিক্স। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকো। পাশাপাশি ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা এর প্রস্তুতির জন্য আমার অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়তে পারো।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি – ১মাস আগে করণীয়
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি প্রস্তুতি কিভাবে নিবে তার বিস্তারিত গাইডলাইন এই পোস্টে দিয়েছি। ক্যাডেট ভর্তি প্রস্তুতি নিয়ে তোমার যেকোন প্রশ্ন অথবা তুমি আরো যা কিছু জানতে চাও, অবশ্যই কমেন্ট করে জানবে।
লেখক
আহনাফ লাবীব
সিলেট ক্যাডেট কলেজ
নবম শ্রেণী
2 Comments
ভাইয়া IQ টেস্টের জন্য কোন বই পড়তে পারি?
নির্দিষ্ট কোনো বই নেই তোমাদের জন্য। উচ্চতর শ্রেণিতে ও বিসিএস
এর জন্য কিছু বই আছে যেগুলো এখন কোনো বিশেষ উপকারে আসবে না।
বরং এই IQ তোমার প্রাত্যহিক জীবন সম্পর্কিত।
এই টপিকগুলো থেকে সাধারণত প্রশ্ন আসবে-
১. কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর মানসিক দক্ষতা,
২. গাইডের বিভিন্ন সম্পর্ক বিষয়ক প্রশ্ন,
৩. ঘরির কাটার উল্টো দিক- সোজা দিকের কোণের মান,
৪. বিভিন্ন দিক সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন,
৫. গণিতের সহজ সহজ ধারা ।